দেশ স্বাধীনতার পর প্রথম এক মহিলাকে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। স্বাধীন ভারতের সেই মহিলাটি অপরাধ কি ? কেন তাকে ফাঁসি দেওয়া হবে?
স্বাধীনতার পর প্রথম ফাঁসি হবে এক মহিলা। কি ছিল মহিলাটির অপরাধ? এমন কত বড় অপরাধ যার ফলে তার ফাসি হবে স্বাধীনতার পর থেকে এই ভারতবর্ষের বুকে কোন নগরীকে ফাঁসি দেওয়া হয়নি কিন্তু 2021 সালে সেই বিশ্ব রেকর্ড আজ ভারতবর্ষে ঘটে চলেছে।
(কি কারণ এই মহিলাটিকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। এর কারণ শোনার পর আপনি বলবেন একে পাথর ছুড়ে ছুড়ে মারা দরকার) আপনি কি যতই মারে পাপ কখনও কম হবে না।
উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা যার নাম সাবনাম । সে এমন বড় অপরাধ করেছে আপনার বিশ্বাস হবে। মেয়েটি উত্তরপ্রদেশে এক শিক্ষকের কন্যা। সেই শিক্ষক থাকে ভালোভাবে শিক্ষা দেয় এবং মানুষের মত মানুষ করে তুলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় বর্তমান পরিস্থিতি হয়ে পড়েছে প্রেমের দুনিয়া যাকে মানুষ বলে প্রিয় ভালোবাসা কিন্তু এটা হচ্ছে সর্বনাশের আশা। সেই মহিলাটির ফাঁসির পিছনে একটাই কারণ যেটার মূল উৎস এ পাগলামি ভালোবাসা।
সেই মহিলাটি এম এ পাস করে এবং শিক্ষিকার কাজ করতেন । কিন্তু সেই মহিলাটি এক গ্রামের পঞ্চম ক্লাস ফেল এক ছেলের সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করি। কিন্তু বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েরা প্রেম কি এমন জায়গায় নিয়ে যায় মুখ দিয়ে যা উচ্চারণ করা যায় না। আমি বলব বিয়ের আগে কোন প্রেম ভালোবাসা হয় না শুধু হয় পাগলামি আর যৌবনের ইচ্ছা। সেই ছেলের সঙ্গে মেয়েটির খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে পরিবারকে কোন কিছু না জানিয়ে। আপনি যদি এক মেয়ের পিতা হন আপনি কি চান আপনার মেয়ে একটি নিরক্ষরের সঙ্গী সম্পর্ক স্থাপন করুক । যেহেতু মেয়েটি এমএ পাস ওদিকে ছেলেটি পঞ্চম ক্লাস ফেল এবং গ্রামে টুকিটাকি কাজ করে লোকেরা এটা মেনে নিতে পারে না।
আপনারা হয়তো শুনেছেন মহিলারা খারাপ কাজের কুমন্ত্রণা দেয় কিন্তু এখানে সব উল্টো । সেই নিরক্ষর ফেল করা ছেলেটি সেই মহিলাটি কে কুমন্ত্রণা দেয়। যেহেতু মহিলাটি ছেলেটির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল তাই সেটি কুমন্ত্রণা ছাড়া তার কাছে কোনো উপায় ছিল না। সেই ছেলেটি মেয়েটিকে বলে তোমার পরিবারের সদস্যদের সকলকে খুন করে ফেলা। বাস মেয়েদের মন তাই সেই দুষ্টু ছেলেটি কথাই সে খুন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
মেয়েটি বাড়ি যাই এবং প্রস্তুতি শুরু করি। খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পরিবারের সকল সদস্যকে ঘুমিয়ে দেয়। তারপর কুড়ুল দিয়ে পরিবারের সকল সদস্য যথা তার পিতা ও মাতা ,ভাই ,বোন , বোনের ছোট সন্তানকে মোট 7 জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আপনার কি মনে হয় এরকম মেয়েদের ফাঁসি ছাড়া আর কি হওয়া যায়। তারপর মেয়েটি বাড়িতে শোরগোল ছড়িয়ে দিন এবং পুলিশকে জানায় বাড়িতে কয়েকজন লোক এসে তাদেরকে হত্যা করে। পুলিশ আসে এবং তদন্ত শুরু করে। প্রথমে পুলিশ মেয়েটির কথা সত্য বলি নির্ধারিত করে কিন্তু পরে যখন মেয়েটির পেটে থেকে একটি সন্তান রয়েছে কোন রকম বিবাহ ছাড়াই ।
তারপর মেয়েটি নিজেই স্বীকার করে যে মেয়েটি সে তার পরিবারের সদস্যদের কোন করে সেই নিরক্ষর ছেলের কথায় যার নাম সেলিম।
তারপরে বিষয়টি আদালতে পিরিত করা হয়। তারপর আদালত থেকে রায় আছে মহিলাটি ফাঁসি দেওয়া হবে এমনকি রাষ্ট্রপতি ও সেই মহিলাটি আবেদন খারাজ করে। মহিলাটিকে ফাঁসি দেওয়ার জন্য সমস্ত রকমের প্রস্তুতি করানো হয়েছে। ফাঁসি দেওয়ার জন্য বিহার থেকে দড়ি আনা হয়েছে।
সেই মেয়েটির বর্তমানে একটি শিশু রয়েছে যার বয়স আনুমানিক সাত বছর সেই ছেলেটি রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছে তার মার যেন ফাঁসি না হয়।
Comments
Post a Comment